বাংলাদেশে কত ধরণের ছাতু আছে ?

বাংলাদেশে কত ধরণের ছাতু আছে

বাংলাদেশে কত ধরণের ছাতু আছে ?

বাংলাদেশে ছাতু বা সাত্তু হিসেবে পরিচিত খাবারটি বিভিন্ন ধরণের শস্য থেকে তৈরি হয়। এটি মূলত শস্যের ভুষি সরিয়ে পিষে তৈরি এক ধরণের গুঁড়ো। বাংলাদেশে যে সব ধরণের ছাতু প্রচলিত আছে, সেগুলো হলো:

  • যবের বা পায়রার ছাতু (Barley Flour): যব থেকে তৈরি এই ছাতু অত্যন্ত জনপ্রিয়। যবের ছাতু পুষ্টিকর এবং এনার্জির ভালো উৎস। গ্রীষ্মের সময় এর সরবত শরীর ঠাণ্ডা রাখে।
  • ছোলার ছাতু (Chickpea Flour): ছোলার ছাতু, যা মূলত শুকনো ছোলা বা চিকপিস থেকে তৈরি এক ধরণের মিহি পাউডার, এটি ভিটামিন, খনিজ, ফাইবার এবং প্রোটিনে পরিপূর্ণ।
  • গমের ছাতু (Wheat Flour): গম থেকে তৈরি এই ছাতুও খুব জনপ্রিয়। গমের ছাতু সাধারণত ভিটামিন ও খনিজ সমৃদ্ধ।
  • চালের ছাতু (Rice Flour): চাল থেকে তৈরি ছাতু বাংলাদেশে কম প্রচলিত হলেও কিছু এলাকায় এর চাহিদা আছে। এটি হালকা ও সহজপাচ্য।
  • মকাই বা ভুট্টার ছাতু (Corn Flour): মকাই থেকে তৈরি এই ছাতু এনার্জির উৎস হিসেবে পরিচিত। এটি খেলে দীর্ঘসময় পর্যন্ত ক্ষুধা নিবারণ হয়।
  • খেজুরের ছাতু (Date Flour): খেজুর থেকে তৈরি এই ছাতু বাংলাদেশের কিছু অঞ্চলে পাওয়া যায়। এটি মিষ্টি ও পুষ্টিকর।

এই ছাতুগুলি বিভিন্ন উপায়ে খাওয়া হয়, যেমন পানিতে গুলে, দুধে মিশিয়ে, বা সরাসরি মুখে নিয়ে উপর থেকে পানি পান করে। ছাতু খাওয়ার ফলে শরীর দ্রুত শক্তি পায় এবং ডিহাইড্রেশন রোধ করতে সাহায্য করে।

আরও বাংলাদেশে কত ধরণের ছাতু আছে ?

বাংলাদেশে ছাতুর আরো কিছু ব্যবহার ও প্রকার নিয়ে আলোচনা করা যাক। ছাতু বাংলাদেশের গ্রামীণ জীবনে একটি প্রধান উপাদান হিসেবে কাজ করে থাকে যা সহজে পাওয়া যায় এবং পুষ্টিগুণে ভরপুর। আরও কিছু বিভিন্ন ধরণের ছাতু এবং তাদের ব্যবহার নিয়ে তথ্য নিচে দেওয়া হল:

  • বাজরার ছাতু: বাজরা এক ধরণের মোটা শস্য যা থেকে তৈরি ছাতু বিশেষ করে উত্তর ভারতে জনপ্রিয়, তবে বাংলাদেশের কিছু অংশেও এটি খাওয়া হয়। বাজরার ছাতু ডায়েটারি ফাইবারে সমৃদ্ধ এবং গ্লুটেন ফ্রি হওয়ায় জনপ্রিয়।
  • মসুর ডালের ছাতু: মসুর ডাল থেকে তৈরি এই ছাতু প্রোটিনে ভরপুর এবং এটি সহজপাচ্য। এটি শরীরের জন্য উচ্চ মানের প্রোটিন প্রদান করে যা মাংসপেশীর বৃদ্ধি এবং স্বাস্থ্য রক্ষায় সাহায্য করে।
  • তিলের ছাতু: তিল থেকে তৈরি ছাতু অতিরিক্ত পুষ্টি যোগায় যেমন ক্যালসিয়াম এবং আয়রন। এটি হাড় ও রক্তের স্বাস্থ্যের জন্য ভালো।
  • বাদামের ছাতু: বিভিন্ন ধরণের বাদাম থেকে তৈরি ছাতু অতিরিক্ত এনার্জি ও ভিটামিন প্রদান করে। এটি শারীরিক শক্তি বাড়াতে এবং মানসিক সচেতনতা উন্নত করতে সাহায্য করে।
  • মিশ্র ছাতু: এটি বিভিন্ন ধরণের শস্য, ডাল, বাদাম ইত্যাদি মিশিয়ে তৈরি একটি ছাতু যা একটি সম্পূর্ণ পুষ্টিকর মিক্সচার হিসেবে কাজ করে। এটি বিশেষ করে শিশুদের জন্য উপযুক্ত যেখানে বিভিন্ন পুষ্টির উপাদান একসাথে পাওয়া যায়।

ছাতু প্রধানত একটি উপযোগী খাবার যা সহজে প্রস্তুত ও সংরক্ষণ করা যায়, এবং এটি গ্রামীণ জীবনে একটি অপরিহার্য খাদ্য উপাদান হিসেবে গণ্য হয়।


Previous Post Next Post

Ads

Ads